*#Give me an educated mother, I will give you an educated nation ~Nepolean. *#Feel youself, Know yourself, you will know the world. *#Self confidence is the best power to improve. *#Education is the backbone of a nation. *#If you want to destroy a nation, destroy their all libraries. *#God is kind. *#Men is born to be free.

Monday, January 29, 2018

কৃত্রিম উপগ্রহ

কৃত্রিম উপগ্রহ (Artificial Satelite)
বিজ্ঞান প্রতিনিয়তই তার নিত্যনতুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে আমাদের সামনে নতুন নতুন ভাবে উপস্থাপন করছে । ফলে উন্নত হচ্ছে মানুষের জীবন যাপন পদ্ধতি । আজকে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্তে থেকে আরেকপ্রান্তের মানুষের সাথে মুহুর্তের মধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি। ফলে সহজ হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য । এমনকি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনও সহজতর হচ্ছে। আর টেলিকমিউনিকেশন এর এই অতিদ্রুততার পেছনে যে মহান আবিষ্কারটির ভূমিকা অসামান্য সেটি হচ্ছে কৃত্রিম উপহগ্রহ। আজকের এই সংক্ষিপ্ত পরিসরের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে কৃত্রিম উপগ্রহ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাব। কৃত্রিম উপগ্রহ বা আর্টিফিসিয়াল স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানার আগে সৌরজগত সম্পর্কে জানা প্রয়োজন । সৌরজগত সৃষ্টির বহু তত্ত্বের মধ্যে অন্যতম তত্ত্ব হল বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুযায়ী দুটি অতিকায় বিশালাকার নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছে সৌরজগতের । সেই সাথে সৃষ্টি হয়েছে অন্যান্য গ্রহ উপগ্রেহর । এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রহ উপগ্রহ বলতে কি বোঝায়? সাধারণত সূর্যকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে যেসব বস্তু একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তুর অন্তুর একটি নির্দিষ্ট দিক বরাবর ঘুরতে থাকে তাদেরকে গ্রহ বলে। অপরদিকে যেসব বস্তু গ্রহকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর একটি নির্দিষ্ট দিক বরাবর ঘুরতে থাকে তাদেরকে উপগ্রহ বলে। যেমন- চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর চারিদিকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ঘুরতে থাকে এজন্য চাঁদ পৃথিবীর একটি উপগ্রহ। আবার মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ ডিমোস এবং ফেবোস। উপগ্রহের এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহকে। উপগ্রহের সংগা অনুযায়ী আমরা জেনেছি কোনো বস্তু নিদির্ষ্ট শর্ত সাপেক্ষে গ্রহের চারিদিকে ঘুরলে তাকে উপগ্রহ বলে। যেহেতু কৃত্রিম উপগ্রহ সেই শর্ত পূরণ করে তাই কৃত্রিম উপগ্রহকে উপগ্রহ হিসেবে ধরা হয়। মূলত কৃত্রিম উপগ্রহ একটি বিশেষ ধরণের রকেট। এটি স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক উপগ্রহের মত নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে থাকে। সাধারণত টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের জন্য এবং আবওহাওয়ার তথ্য গ্রহণের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহের ইতিহাস সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের কথা। কেননা মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উপক্ষেপনের কৃতিত্ব তাদেরই। ১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর স্পুটনিক-১ নামের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি সোভিয়েত ইউনিয়ন উৎ।ক্ষেপণ করেন। এই কৃত্রিম উপগ্রহটির নকশা করেছিলেন সের্গেই করালিওভ নামের একজন ইউক্রেণীয়। একই বছর তারা স্পুটনিক-২ নামের দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎেক্ষেপ করেন। প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ অর্থা‌ৎ স্পুটনিক-১ ছির জীববিহীন কিন্তু এবার তারা উপগ্রহটির সাথে লাইকা নামের একটি কুকুর উৎপক্ষেপণ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল প্রথম মহাকাশে গমনের সুযোগপ্রাপ্ত এই সৌভাগ্যবান কুকুরটি পৃথিবীতে আর জীবিত ফেরত আসতে পারেনি। তাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কুকুরটি উৎভক্ষেপনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারা যায়। এরপর আরও অনেক দেশ অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করেন। কৃত্রিম উপগ্রহের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা আংশিক ধারণা পেলাম। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক এটি কিভাবে কাজ করে। কৃত্রিম উপগ্রহ বেশ ভারী একটি বস্তু ।কোনো বস্তুকে পৃথিবীর বাইরে উৎকক্ষেপণ করার জন্য মুক্তিবেগ অতিক্রম করতে হয়। মুক্তিবেগ বলতে বোঝায় সেই পরিমান বেগ যে বেগে কোনো বস্তুকে পৃথিবীরে বাইরে নিক্ষেপন করলে এটি আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না। এখন যেহেতু কৃত্রিম উপগ্রহ একটি ভারী বস্তু তাই এটিকে পৃথিবীর বাইরে সহজে উৎিক্ষেপণ করা কষ্টকর। তাছাড় উৎরক্ষেপিত হওয়ার পর এটিকে অনেক অনেক বছর ধরে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে হয়। এজন্য ভারী একটি বস্তুকে চালানোর জন্য অনেক জ্বালানীর প্রয়োজন । কৃত্রিম উপগ্রহকে উৎৃক্ষেপণ করার সময় এর কয়েকটি অংশ আস্তে আস্তে ত্যাগ করা হয়। এরপর যখন উপগ্রহটি তার কক্ষপথে চলে যায় তখন কেবলমাত্র মূল অংশটি উপগ্রহে হিসেবে বিদ্যমান থাকে । এরপর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান কৃত্রিম উপগ্রহের গতিকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় যাতে এর গতির সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স বাইরের দিকে শক্তি প্রদান করে। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ শক্তি কৃত্রিম উপগ্রহটিকে তার কক্ষপথে ধরে রাখে। ঠিক একেবারে প্রাকৃতিক উপগ্রহের মত । উভয় শক্তি কৃত্রিম উপগ্রহকে ভারসাম্য প্রদাণ করে। এজন্য উপগ্রহটি পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে। তার ঘূর্ণন কিন্তু গোলীয় নয়। বরং উপবৃত্তাকার পথে এটি পৃথিবীর চারদিকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে বাঁধাহীন পথে ঘুরতে থাকে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলোতে উৎ ক্ষেপনের সময়ই পর্যাপ্ত পরিমান জ্বালানী সরবরাহ করা হয়। কেননা মহাকাশে রিফুয়েলিং বা পুনরায় জ্বালানি সরবরাহ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে কিছু কিছু কৃত্রিম উপগ্রহ সূর্যালোকের সাহায্যে জ্বালানির চাহিদা পূরণ করে। সুতরাং বলতে হয় কৃত্রিম উপগ্রহের নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল রয়েছে। যদি কৃত্রিম উপগ্রহে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকে তবে এটি তার নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল পর্যপ্ত টিকে থাকবে। কেননা পৃথিবীর বাইরে পৃথিবীর মত কোনো ঝড় বৃষ্টি নেই। এবার আসুন জেনে নিই কৃত্রিম উপগ্রহকে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার এককথায় বলে শেষ করা যাবে না । আধুনিক বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে । যেমন- টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়, ইন্টারনেটের যাবতীয় তথ্য আদান প্রদান কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে হয়, তাছাড়া আবওহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্যও কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর আধুনিক বিজ্ঞানের এইসব বিষ্ময়কর আবিষ্কার ছাড়া আমরা কোনোমতেই চলতে পারব না। সুতরাং, এটা সহজেই অনুমেয় যে কৃত্রিম উপগ্রহ আধুনিক বিশ্ব গঠনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য।

Thursday, January 8, 2015

এমনি

সম্পূর্ণ নতুনভাবে একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপিং চলছে। ততদিন সবাই একটু অপেক্ষা করুন। অনেক চমক থাকছে। সেখানে। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

Saturday, April 12, 2014

নিশীথ রাত্রির সদস্য --- হুসাইন মুহাম্মদ কারুজ্জামান

সূচিপত্র
আমার ভালবাসার অরণ্য
আমার ভালোবাসা-১
কবিতা
চাঁদ
অন্ধকার
স্বপ্নের পাশে থাকে চোরাবালি
প্রণয় আচ্ছন্ন-১
আমার ভালোবাসা-২
আমার বাংলা
ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো
শূণ্য হৃদয়
নবমিতা
প্রণয় আচ্ছন্ন -২
তবুও তো বেঁচে আছি
দুরন্ত কিশোর
বাড়ি ফেরা
আমার স্বাধীনতায় আছে
নিশীথ রাত্রির সদস্য
সমুদ্রের ডাক
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো
মাতৃভূমির কথা
ক্লান্ত বিকেল
কারো অপেক্ষায়
মহাবিপদ সংকেত
অরণ্যে নেই তুমি
পারফিউম
শেষ দেখা
সবকিছু কি এক
বাংলাদেশঃগণতন্ত্র
কিছু কথা
গান গাবো
শুকনো পাতা
বাংলা
শূণ্যতা
কল্পনার দিগন্ত
যদি কেউ
স্বপ্ন দেখায়
ষাট বছর পার হলেও
ফিরে আসা
হারানো সুর
বৃষ্টি হয়ে
মায়ের ভালোবাসায়

‘নিশীথ রাত্রির সদস্য’ হুসাইন মুহাম্মদ কামুরজ্জামানের প্রথম কাব্যগন্থ। এর সবগুলো কবিতাই আমি পড়েছি। কবিতাগুলোয় মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম,রোদবৃষ্টি ভালোবাসা সহ স্বদেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রতিভাত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে, এদেশের ষোলকোটি মানুষের সিংহাভাগই তাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছে না। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা যে বিঘ্নিত হচ্ছে তাও প্রতিধ্বনিত হয়েছে কবির অধিকাংশ কবিতায়। গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রের মধ্যকার ফারাকটুকু সুস্পষ্টভাবেই বেশিরভাগ কবিতায় উঠে এসেছে। ‘একুশের চেতনা’ আর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ যে কেবলই অধিকাংশ রাজনীতিবিদের স্বার্থ হাসিলের একটি কূটকৌশল তাও ধরা পড়েছে এ গ্রন্থের কবিতায়। এদেশের বর্তমান রাজনীতি যে মানব কল্যাণের চাইতে স্বকল্যাণে ব্যবহৃত হয় তাও পরিলক্ষিত হয়েছে এ কাব্যগ্রন্থে। কেননা, কবিমাত্রই কালিক ও যুগযন্ত্রণা বেদনাহত হৃদয়ে অনুভব করে থাকেন। নতুন প্রজন্মের কবি হিসেবে তাও উলব্ধ হয়েছে কামরুজ্জামানের ভাবনায়। সহজ-সরল প্রকাশ ভঙিতে তার করিতায় উপমা-উৎপেক্ষা কম-বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। তার এ গ্রন্থটি পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কব্যচর্চায় উত্তরোত্তর তিনি সমৃদ্ধ হোন, এটাই আমার আন্তরিক কামনা।
আবুজাফর আবদুল্লাহ্
সাবকে পরিচালক
বাংলাদেশ বেতার।

নিশীথ রাত্রির সদস্য হুসাইন মুহাম্মদ কারুজ্জামান
প্রকাশানায়   ভবো রঞ্জন বেপারী
   নন্দিতা প্রকাশ
   বিচিত্রা বিই মার্কেট ( ৩য় তলা)
   ৩৬, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০
   ফোন: ৭১১০১২২, ০১৭১৬-৩১৭৯৪২ 
পরিবেশনায়  নিউ নেশন লাইব্রেরী
   পুরান লেন, জিন্দাবাজার, সিলেট-৩১০০
   বুক সেন্টার
   ৩৪, নিউ মার্কেট, রাজশাহী

স্বত্ব   লেখক
প্রকাশকাল  অমর একুলে গ্রন্থমেলা ২০১৪
প্রচ্ছদ   অনুপম কর
বর্ণবিন্যাস  নন্দিতা কম্প্রিন্ট
মুদ্রণ    নন্দিতা প্রিন্টার্স
মূল্য   ১২০ টাকা
 
Nishitho Ratrir Sarasso (poems) by Hussain Muhammad Kamruzzaman
Published by Bhabo Ranjon Bepary, Nandita Prokash
Bichitra Boi Market (2nd Floor) , 36 Banglabazar, Dhaka-1100, Bangladesh
Phone: 7110122, 01716317942, 01190-466506
Email: nandita_bhabo@yahoo.com
Website: www.nanditabd.com
Price: Tk. 120 U.S.$4 only.
ISBN 978-984-90596-5-1

আমার ভালবাসার অরণ্য
আমার ভালভাসার অরণ্যে দাম্ভিকতা নেই।
আছে মমতা ঘেরা সবুজ ভালবাসা।
আমার ভালবাসার অরণ্যে ষোলকোটি মানুষের বাস,
কোটি কোটি স্বপ্ন একটি পরিবার।
আমার ভালবাসার অরণ্যে পাখি ওড়ে, কোকিল গান গায়
স্বাধীনতার গান।
আমার ভালবাসার অরণ্যে হাজার ফুল ফোটে
প্রজাপতি ওড়ে
নদী বয় শ্যামল মাঠ চিরে।
আমার ভালবাসার অরণ্যে হানা দেয় দূর্বৃত্ত কোনো ঝড়,
তবু আমার ভালবাসার অরণ্য দাঁড়িয়ে থঅকে
ভালোবাসা নিয়ে কারো অপেক্ষায়।

আমার ভালবাসা-১
পৃথিবীতে কোনো এক শ্যামল বদ্বীপে
আমার বসবাস।

মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু স্বজন
প্রকৃতির রূপ, মায়াবী ঢেউ, নদীর কলতান
রাতের জ্যোৎস্না, শুকতারা,
এই বাংলা
আমার ভালবাসা।

আমার ছোট কুটিরে বৃষ্টি ঝরে
জোনাকিরা মেলা আলো দেয়, পরী নামে
রাতের শেষে সূর্য হাসে পাখির ডাকে,
প্রভাত আলোয় শিশির সিক্ত বাংলা
আমার ভালোবাসা।

কবিতা
জানালার কাছে রেলিং এর উপর
একটা কাক, কাকা করছে।
তার তৃষ্ণার্ত চোখের পানির মতো।
হৃদয় থেকে বেরোল একটি কবিতা
হাজার কবিতা থেকে বেছে।
নিস্তব্দ কক্ষ, দেয়ালে টাঙানো পোস্টার

রূপসী বাংলার
হৃদয় আবেগে একাকার
কারো অপেক্ষায়।
নীরব মনঃকষ্ট, নিথর বেদনায়
কোনো এক কবি লিখেছে কবিতা
কবরের মতো নিস্তব্দতায় একাকী একা বসে।

চাঁদ
খোলা আকাশের নীচে নির্জন মাঠে
একাকী বসে থাকা।
চাঁদ সেওতো নীল আকাশে
সাগরের গহীন জলের মত একা,
তার সাথে মিশে
হৃদয়ের রং তুলিতে ছবি আঁকা।
নীল আকাশ কেনো এতো রং বদলায়
কোনো এক শিল্পীর ক্যানভাসের মতো।
পৃথিবীর এতো ছোটো জায়গায়
আমার কুটির সে কী চেনে?
তাকে নিয়ে আমার এতো ভাবনা সে কী জানে?
কতো কবিতা লিখব ভেবেছিলাম
শরীরের শিহরণে যাই ভুলে।
চাঁদ তুমি আমার কুটিরে কেনো আলো দাও না
তুমি দাঁড়িয়ে থাকো ঠিক আমার কুটিরের ওপরে
চেয়ে রবো তোমার দিকে শতকাল
তোমার স্নিগ্ধ আলো ভরে দেবে শরীর মন
আমার বাড়ির আঙিনা।

অন্ধকার
অন্ধকার, অন্ধকার, চারিদিকে শুধু অন্ধকার
কালো রাতের শেষে কবে ফুটবে আলোর পথ।
তোমাদের বজ্র কন্ঠে কবে বেরোবে
রক্ত শ্লোগান
বাঙালির স্বপ্নে থেমে থেমে হানা দেয় দাঁড় কাক।

একাত্তরের স্বপ্নভরা স্বর্ণকুটির
আজো কেনো হয় রক্তে লাল।
পূর্ণ স্বাধীনতা কবে আসবে?
আসবে কী আগামীকাল?

স্বপ্নের পাশে থাকে চোরাবালি
আমার স্বপ্নের পাশে থাকে চোরাবালি
হারিয়ে যাবার
আমার কলমের নিবের এক কোনে আছে
অসভ্য জানোয়ার
সবুজ ঘেরা বনানীর পাশে
নরখাদকের বাস।
আমার চারিদিক ঘিরে আছে
স্বর্ণলতার মত পেঁচানো
জীবাণুবাহী ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া।
আমি হারিয়ে যেতে চাই না।

আমার স্বপ্ন কলম, বনানী
উদ্ভাসিত হোক কল্যাণে
আঁধার থেকে আলোর দিকে
আমি চেয়ে আছি চেয়ে আছি
সেই প্রত্যাশায়।

প্রণয় আচ্ছন্ন-১ (হিমুর জন্য)
আজো নাকি হৃদয়ের রং বদলায়
প্রজাপতির মেলা বসে।
প্রজাপতি কি গান গায়
নাকি সুর তোলো।
বসন্তের ফুলে ভ্রমর মধু পায়।
সে কি পায়।
হৃদয়ের রঙে প্রজাপতি কি হারায়
নাকি শুধু বসে থাকে
কোথাও যাবে বলে।
প্রজাপতি কি প্রণয় আচ্ছন্ন
নাকি আমি
পাখায় তার বাতাসের ঢেউ
সে কি সত্যিই হারায়
না আমি হারাই
নাকি দুজনায়
নাকি অন্য কেউ।

আমার ভালবাসা-২
পৃথিবীর প্রিয় কোন ভূখন্ড
সবুজের গহীন অরণ্য
ভোরের আকাশে সাদা বক স্বাধীন
বসন্তের আম্রকানন
রাতের আঁধারে কিংবা জ্যোৎস্নার আলোয়
হাস্নাহেনার সুবাসে বাংলা
আমার ভালোবাসা।

আমার বাংলা
সূর্জের নির্গত আলো
চাঁদের জ্যোৎস্না
আকাশের রংধনু
কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল
বঙ্গোপসাগরের বুকে চাই অন্য কোনো দ্বীপ
আগ্নেয়গিরি থেকে স্বর্ণের লাভা
আমি চাই না।
আমি চাই শীতের সকালে
চাদর জড়ানো ভালোবাসার মতো ভালোবাসা
আমার বাংলা।

ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো
হয়তো কৃষকের চুলগুলো ঝরে যাবে দুঃশ্চিন্তায়
তবুও বৃষ্টি পড়ে না।
শুশ্ক খরা মাটি অপেক্ষায়
এক পশলা বৃষ্টির।
বৃষ্টি নেই।
ধানের চারাগুলো শুকোয়।
আবার কখনো না চাইতেই বৃষ্টি
শুধু চলা, তারপর সৃষ্টি
এক বন্যা।
কৃষকের মতো, আমার চাওয়াগুলো
কখনো অপূর্ণ থাকে,
কখনো পাবার ভিড়ে
শঙ্কিত থাকে ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো।

শূন্য হৃদয়
শেষ বিকেলের পড়ন্ত আকাশ
ঠান্ডা হাওয়া প্রতিদিন অচেনা কেনো হয়?
প্রতিদিন কেনো বদলায় তার ভাব।
আমি পৃথিবীর ছোট মানুষ
কেনো তার মায়াজালে
দেখি চারদিক ঘোরে
অবুঝ বালকের মতো
নিত্যদিনের অচেনা পৃথিবীকে।
কেনো তাকে ভালো লাগে
কাছে আছে বলে
নাকি পাই না বলে
নাকি শূন্য হৃদয় ভরেছে বলে।

নবমিতা
তোমাকে নিয়ে লেখা আমার প্রথম কবিতা
কী নাম দেবো পাই না ভেবে
অবশেষে নাম দিলাম নবমিতা।

দিনের শেষে রৌদ্রস্নাত বিকেলে
অজস্য ব্যথা আর যাতনার ফাঁকে
তখন বোধহয় হাঁসগুলো খেলছে দূরের বিলে
হৃদয় আকাশে মেঘগুলো ছবি আঁকে।

প্রকৃতির এমনি মুহূর্তে মনে হয়
তুমি আর আমি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
সামনে বিশাল মাঠ পাতাঝরা বিকেল
হৃদয়ে তরঙ্গ ওটে আর যেনো না যাই ফিরে।

তারপর
দিন যায় রাত যায়
তবুও তোমার নাম পাই না খুঁজে
অবশেষে- নাম দিলাম নবমিতা।

প্রণয় আচ্ছন্ন-২
বাতাসে শুকনো পাতা ওড়ে
ঘনকালো চুলের মতো বসন্তে ফুল ফোটে
বর্ষায় বৃষ্টি ঝরার মতো
সমুদ্রে ঢেউ ওঠে,
সে র্যের রক্তিম আভায়
প্রেমপত্র হাতে কোনো যুবক
কারো অপেক্ষায়।
সে কি তোমার মন রাঙায়, নাকি স্বপ্নতত্ত্ব দেয়,
তুমি আর সে কি সত্যিই প্রণয়া-বিভোর
নাকি পৃথিবী আর তুমি।

তুবও তো আছি
যত দূরে থাকো না কেনো
তুবও তো আছি সাদা আসমানের নীচে।
যতো দূরে থাকো না কেনো
তবুও তো হাঁটি একই মৃত্তিকার বুকে
এখনো মাটি হইনি।
যতো দূরে থাকো না কেনো
তুবও তো ঘুমোই রাতের আঁধারে,
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তার তীরে।
যতো দূরে থাকো না কেনো
তুবও তো আছি আমার ভালবাসার অরণ্য
বাংলাদেশে।

দুরন্ত কিশোর
আমি লাশের ভাগাড় থেকে উঠে আসা
দুরন্ত কিশোর।
পদ্মার উদ্দাম জলে, ছেঁড়া পালে
বৈঠা বাওয়া
আমি এক দুরন্ত কিশোর।
আমার শৈশব, কৈশর, যৌবনের বাংলা
অপেক্ষায়
চিরনিদ্রায় শায়িত হবার বাংলা
আমার ভালোবাসা।
হাজার শকুনেরা এখনো পাখা মেলে আকাশে!
একাত্তরের রক্তে তারা মাতাল হয়েছিল
শাণিত ঠোঁটে খেয়েছিল লক্ষ লক্ষ লাশ
টেনে হিঁচড়ে নিয়েছিল নারীর শাড়ীর আঁল।
তবুও কি শকুনদের সাধ মেটেনি?
আজো কোনো আকাশে ওড়ে।
আমি লাশের ভাগাড় থেকে উে আসা
দুরন্ত কিশোর।
তীর হাতে নয়, অস্ত্র হাতে
আমি একাকী নই, সঙ্গীসহ
এক এক করে তোদের
করে দিব নির্বংশ।
আমি মুসলিম, আমি বাঙালি
এই বাংলা আমার দেশ
এই বাংলা আমার ভালবাসা।

বাড়ি ফেরা
শীতল হাওয়ার মধ্যে ফিরছি বাড়ি
আমি একা। প্রায় জনশূন্য রাস্তাঘাট।
হলদে চাঁদের চারদিকে পাহাড়ের মতো
মেঘ জমেছে।
তারাগুলো উজ্জ্বল শিশির বিন্দুর মতো।
রাস্তার পাশে মাঠ
বৃষ্টির পানিতে সাদা হয়ে গেছে ছোট বন্যায়।
কাটা ধানগাছ থেকে নতুন চার বেরিয়ে
বাতাসে দুলছে।
কলা বাগানের পাতার শব্ধ
দু’চারখানা ঘরবাড়ি।
আমি চলেছি একা।
রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ
পুকুরে মাছের পাখা ঝাঁপানোর আওয়াজ
নানা পোকার ডাক, পৃথিবীর অচেনা সুরের মতো
বহুরূপী আকাশের রঙ
নিত্যদিনের সাথে মিশে একাকার।

আমার স্বাধীনতায় আছে
আমার স্বাধীনতায় আছে
বাবার আদার, মায়ের আদার
হৃদয়ের কলধ্বনি।

আমার স্বাধীনতায় আছে
কবির কলমের মুক্ত লেখনী
খবরের কাগজের মুক্ত সম্পাদকীয়
মুজিবের প্রেরণার সেই সংগ্রামী বাণী।

আমার স্বাধীনতায় আছে
হৃদয়ের রঙ তুলি আর রঙের বাড়ি।

আমার স্বাধীনতায় আছে
জাতির কাঙ্খিত পতাকা
নৌকা বাইচেরে সাজানো রঙিন নৌকা।

আমার স্বাধীনতায় আছে
মাতৃভাষায় গল্প শোনানো একুশের কবিতা।

আমার স্বাধীনতায় আছে
‘আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি।’

নিশীথ রাত্রির সদস্য
আমি এক নিশীথ রাত্রির সদস্য।
রাতের কালো অন্ধকার আর আমার
গাঢ় অন্ধকার মিলে তৈরি হয়েছে নিশীথ রাত্রি।
আমি তার একমাত্র সদস্য।

রাতের অন্ধকার আমাকে ডাকের
আমি দেখি দুরন্ত মেঘলা আকাশ
মেঘ থামে, তুবও চাঁদ আলো দেয়
তারা ফোটে।

আমার আকাশে কেনো তারা ফোটে না,
মনের জলে বান হয়ে যায়
তবুও শাপলা পদ্ম ফোটে না।

আমার জলে মাছরাঙা মাঝ ধরে না,
হাঁসগুলো শামুক কুড়ায় না, খেলে না
কারণ, আমি নিশীথ রাত্রির একমাত্র সদস্য।

সমুদ্রের ডাক
সমুদ্র দেখেছো, সমুদ্রের গর্জন শুনোছো?
ভয়ংকর উঁচু উঁচু জলরাশি
তার ডাক বোঝে দক্ষ নাবিক কিংবা মাঝি
আর গণতন্ত্র বোঝে রাজনীতিবিদ
যদিও তা অণুপস্থিত এদেশে এখন।

কখনো হাওয়ার তোলে জালের স্রোতে
ছুটে চলে তীরবেগে জাহাজ
হয়তো এক ফাঁকে মেঘেরা করে সাজ
কোনো হিংস্র বাঘের মতো শিকারের অপেক্ষায়।
হয়তো বোঝে দক্ষ নাবিক
এসেছে অনেক পথ
পাখির ডানায়
চারদিক ঘিরে আসে সমুদ্র যৌবন
প্রলয় ভূমিকায়।
মহাবিপদ...

ওহে রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্র
যেনো না হয়,
না ফেরার পথ
যেনো না হয় ঝড়ের যন্ত্র
হারিয়ে যাবার আগে
নিয়ে নাও বাগে
আমার ভালবাসার অরণ্য।

হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো
সাদা মেঘ আকশে ভরে শূন্যতা
সীমানার প্রাচীর ঢেকে।
কখনো কালো মেঘ ছোটে এদিক ওদিক
শুঝু তার ব্যস্ততা
জলদেবে কাকে?
ঘুরে সারাদিন রত্রি বেলা।
কখনো বৃষ্টি নামে
শ্রাবণের দিনে
ঘুরে আসে স্বপ্নের দিন
কৈশোর তারুণ্য
এই বৃষ্টি ভেজা মনে।

মাতৃভূমির কথা
বাংলার ইতিহাস শুনছে দৃপ্ত পৃথিবী
যুগের পরতে পরতে রয়েছে আঁকা ছবি।
গণহত্য, অত্যাচার , নিপীড়ণ, নির্যাতন
দুঃখ, কষ্ট, জরাজীর্ণ আহরণ।
বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তর।

মুক্তিকামী মানুষ
এঁকেছিল স্বাধীনতার পোস্টার ফেস্টুন
এক হাতে অস্ত্র
অন্য হাতে লাল সবুজের পতাকা
যেনো মুক্তির সব কথা আঁকা।

বাউলের হাতে একতারা নেই
কবির হাতে কলম নেই
মাঝির মুখে ভাটিয়ালি গান নেই
সবাই ধরেছে অস্ত্র
দেশকে বাঁচাতে ব্যস্ত।
ওরা বলে, লাল সবুজের পতাকা চাই
বুকের ভেতর স্বাধীনতা নাই
লাল সবুজের পতাকা চাই-চাই-চাই।

স্বাধীনতার জন্যে লাখো শহীদের প্রাণ
রেখেছে বাংলাদেশের মান।
লাখো শহীদের রক্ত
মিশে যেনো বাংলা এখন মুক্ত।

ক্লান্ত বিকেল
ক্লান্ত বিকেলের পড়ন্ত রোদে
চলো না হাঁটি কৃষ্ণচূড়া রোডে।
মনেরে ডায়েরীতে লিখি আরেকটি দিন।
হয়তো চাঁদের জ্যোৎস্না থাকবে না
সে র্যের আলো কম কিসে
পৃথিবীর সব প্রাণ আছে তার সাথে মিশে।

ক্লান্ত বিকেলের পড়ন্ত রোদে
চলো না বসি, ব্যস্ততায়
কোনো বটতলা মোড়ে।
জীবনের গল্প করি
হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়া দিনগুলোর।

কারো অপেক্ষায়
(মানিকগঞ্জের রাকিব ভাইকে)

পাঁচ ফুট দু’ইঞ্চির দেহটায় আছে মায়াবী চোখ
হাসি সাদা মেঘের মতো পবিত্র।
তার দিকে তাকালে দেখতে পাই
অশ্রুসিক্ত চোখের ভাষা
সেখানো হয়তো বেঁধেছিল
কোনো প্রেয়সী বাসা।

দিনকে দিন যায়, কেঁটে যায় বছর
আকাশের তারা নিভে যায়
ভালোবাসা মরে না।
রাকিব ভাইয়ের অশ্রু ঝরে
মনের সাগর ভেসে যায়,
তারপরেও
বাঁচে শুধু আশায়
কারো অপেক্ষায়।

মহাবিপদ সংকেত
এক অন্ধকার,এক অন্ধকার
অমাবশ্যার চেয়েও গহীন অন্ধকার
ধেয়ে আসছে সহস্য বেগে
এই বাংলাদেশে।
মহাবিপদ সংকেত, আজকের
‘গণতন্ত্র, রাজনীতি’
ভাষা, সাহিত্য,সংস্কৃতি, সভ্যতা, চেতনা, অবহেলিত।
প্রাণ পুরুষ, ভাষা সৈনিক, একাত্তরের রানঙ্গন কাঁপানো
বীর মুক্তিযোদ্ধারা
একে একে পাড়ি দিচ্ছে না ফেরার দেশে।
আর আমরা অরক্ষিত ষোলো কোটি জনতা।
আজকের রাজনীতি ও গণতন্ত্র
যেনো লুটপাটের মূলমন্ত্র।
ওহে লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধারা
গণতন্ত্রের উত্তাপে কাঁদে ষোলোকোটি আমজনতা কিংবা
ছেলে হারানোর বেদনায় কোনো অসহায় জননী।
আজো বইগুলো র্যাকে তোলা গভীর মমতায়।
তবে তোমদের এ কেনো নীরবতা।
তোমাদের ভাষা কী বন্ধ হয়ে গেছে?
পা কী খোঁড়া হয়ে গেছে?
দৃষ্টি কী হারিয়ে গেছে ?
আবার জ্বালাও একাত্তরের মশাল।
সুষ্ঠু রাজনীতি হোক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত।
ধেয়ে আসা মহিাবিপদ দূর হয়ে আসুক রাঙাপ্রভাত।

অরণ্যে তুমি নেই কেনো
আমার ভালোবাসার অরণ্যে আছে
রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংঞ, হায়েনা, গোখরা
উন্মত্ত পদ্মা মেঘনা যমুনা
ভেঙে দেয় ঘরবাড়ি।
আমার ভালোবার অরণ্যে আছে বঙ্গোপসাগর
হঠাৎ আসে সিডর, নার্গিস, আইলা, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস।

আমার ভালোবাসার অরণ্য কালো করে অমবশ্যা
লাল রক্তে দেশ গড়ে গণতন্ত্র।

এতো সব ভয়ংকরেরা থাকে আমার ভালোবাসার অরণ্যে
তবে তুমি নেই কেো
তুমি আসো না কেনো আমার ভালোবাসার অরণ্যে
শিশির ভেজা ভালোবাসা নিয়ে।

পারফিউম
বাংলা তোমার বুক থেকে ভালোবাসার পারফিউম ছড়াবে
সারা পৃথিবীতে
বকুল, বেলী,জবা,কামিনী গোলাপ কিংবা হাস্নাহেনার
পারফিউম নয়
ষোষ কোটি হৃদয় থেকে বেরোনো ভালোবাসার পারফিউম।
সেই টানে যেনো আসো কোনো মহামানব
মুসলিম চেতনার অগ্রনায়ক
দিন মজুর কলি কামার, মুমিনের নেতা
বাংলার সফল রাষ্ট্রনায়ক কিংবা সারা পৃথিবীর।

আজো বসে আছি
ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল মেঘলা আকাশের নিচে
সেই দিনের প্রতীক্ষায়।

শেষ দেখা
(সুরভী আক্তার সূচী স্মরণে)

তোকে শেষ দেখেছিলাম ক্লাশে
মনে হয়েছিল ভালোই ছিলি।
কিন্তু দেখিনি তোর চশমার ভেতরের
অশ্রু অনল চোখ
দেখিনি তোর কপালে মৃত্যু ক্ষুধা লেখা।

দেড়শ কিলোমিটার পথ, তোর বাড়ি যাওয়া
তারপর অঘটন।
জানলে তোকে যেতে দিতাম না।
তোর শুভ্র অন্তরে সাদা মেঘ কালো হয়েছিল
বৃষ্টি পড়েনি রক্ত ঝরেছে,
তোর চোখ দুটো এতোই ক্লান্ত হয়েছিল যে,
রাতের শেষে জেগে ওঠে নি।
রূপালি আলোয়, সোনালী আলোয়
এখন শুধু ঘুমোবার পালা।
তুই নেই্
কলেমের কালিক্ষয় হয়েছে,
তোকে নিয়ে কবিতা লেখা হয়নি।
হৃদয়ের জলে বান হয়েছে,
সেই বানের জলে জলরঙ পরী হয়ে উঠে আয়
একবার।
শুধু একবার।

সবকিছু কি এক
আকাশের জ্যোৎস্না বলে কথা
চাঁদের সাথে তারার মেলার তুলনা
বাস্তব বনলতা আর তার আলপনা
সব কিছু কি এক?

পদ্মার ইলিশ আর মেঘনার ঘোলাজল
আমার গ্রাম আর অন্য গ্রাম
আমার দেশ আর অন্য দেশ
রঙ তুলি আর ক্যানভাস
সবকিছু কি এক?

আমার ভাঙা ঘর,পর্দাহীন জানালা
রাতের জ্যোৎস্নার লুকোচুরি খেলা
মেসের কোণে বসে থাকা
আর রাত গোনা, কবে বাড়ি যাব
তুমি কিংবা অন্য কেউ, আলো ছায়া
সবকিছু কি এক?

বাংলাদেশঃ গণতন্ত্র
দেশের গণতন্ত্র
যেনো মানুষ মারা যাঁতাকল
এই বিশ্ববেহায়ার দামামা ভোজন
শরীর মাংস দেহের বল।
দেশের গণতন্ত্র
যেনো কয়েকের উত্তারধিকার দ্বন্দ্ব
হরতাল-অবরোধ গুঁড়ি ফেলে রাজপথ বন্ধ।
দেশের গণতন্ত্র
ফেলানির মতো কাঁটাতারে এখনো ঝুলন্ত
বাঙালি কৃষিকের লাঙল ভাঙা যন্ত্র।
দেশের গণতন্ত্র
কালো টাকা সাদা করে চালান
কারো কারো নির্লিপ্ত বাসনায় দেশ চাম্পিয়ন।
দেশের গণতন্ত্র
সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, ককটেলে ঝলসানো শরীর
মিছিলে গুলি, নেতার বুলি, শীতের প্রহর
আজো কেনো শত মায়ের কান্না শুনি।
দেশের গণতন্ত্র
সংসদে কাঁপে স্বরযন্ত্র
হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ
আইন পাশ
বাতাসে সজীব নিংশ্বাস
সব মাফ।
বছর কাটে,
শুধু পালা করে পালা বদল
সংসদে নানা নীতি, কূটকৌশল।

কিছু কথা
কিছু বলার পরও থেকে যায়
কিছু কথা অবশিষ্ট মেঘের মতো।
যদিও মন থাকে নির্ভয়
বেলা-অবেলায়।

গ্রীষ্মের হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের মতো
কিংবা শ্রাবণের আকাশে হঠাৎ বৃষ্টির মতো,
কিছু না বলা কথা
ব্যক্ত হয় কারো কাছে।
শুকনো পাতার শূন্য বনে
শিহরণ জাগায়
যা ছিল হয়তো তোমার অপেক্ষায়।

গান গাবো
আবেগে আপ্লুত এই সন্ধ্যায়
চারদিকে গাছপালা আর বাতাসের শব্দ
নিভৃত হৃদয়কে দোলিয়ে
শান্ত নদীতে কুসুমের ভালোবাসায়।

সারা বাংলাকে বুকে তুলতে ইচ্ছে করে
নদীতে ভেসে ওঠা চরের তো।
সরল প্রেমিকের মতো,
যদি বাংলা হতো আমার,
তারপরেও বাংলা আমি তোমার
আমি শুধু তোমারই গান গাবো
আমার মতো করে।

শুকনো পাতা
কালো মেঘে আকাশ ঢাকা
সে র্যের বেরোবার পথ নেই।
এরপর হয়তো পাথর ঝড়ে
হারাবো সবাকিছু, আমার ভালোবাসার অরণ্য।

হঠাৎ হঠাৎ
ভেতরের হৃদয়টা কালো মেঘে ঢাকে,
হু হু করে কাঁদে নীলাভ বেদনায়
বৈশাখের বাতাসে লন্ডভন্ড
শুকনো পাতার ওড়াউড়ির মতো।
আমি নিজেই নিজেকে বুঝতে পারি না,
শ্রাবণ আকাশের মতো।

বাংলা
বাংলার আকাশ, বাংলার মাঠ
ডুবিয়েছে আপন হৃদয়ের পাঠ।
চোখ ভরে দিখি সবুজ শ্যামল
আনন্দে হারায় মন।
হৃদয়ে থাকে না ব্যথা
অপরূপা রূপে
যেনো স্বর্গের ভালোবাসা প্রকৃতির সাথে মিশে।
গাঁয়ের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ
আম, জাম, কাঁঠাল, শিমুল, নারকেল
আর তালের সুন্দর জনপদ।
বাংলার জারি, সারি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি
হাসন, লালন, করিমের সুর
দূর থেকে শোনা যায় কন্ঠে সুমধুর।
সুপোরি গাছে চড়ুই পাখির বাসা
অবিরাম
সংগ্রাম
তুবও বেঁচে থাকার আশা।
বাংলার নির্ভয় বিচরণ এই তার ভরসা।
বাংলায় আছে হাজার নদী
এঁকে বেঁকে চলেছে নিরবধি।
নদীর উদ্দাম অশান্ত ঢেউ,
পাল তোলা ছোট নৌকো
দুরন্ত গতি জীবনের লক্ষ্য খুঁজে নেয় কেউ।

শূণ্যতা
শূণ্যের মাঝে শূণ্য পৃথিবী
শুন্যে ভেসে চলা।
একাকী নিরালা ভাবি
অঙ্কের শূণ্যটাই শুধু শূণ্য নয়
নিথর দেহ মটিতে শয়ান
প্রাণ তুই শূণ্যে চলে যাবি।
তাই শূণ্যতা বড় ভালোবাসি।

কল্পনার দিগন্ত
ঘুমোতে যাবার আগে
রাতের আকাশ হৃদয় ভরে দেখি।
তারপর
ঘরের একটা জানাল খুলে রাখি
রূপালি আলোয়
যদি কিছু ভাসে আকাশের গায়
মনের কল্পনায়
একটানা চেয়ে থঅকি যতোক্ষণ পারি
কল্পনার দিগন্তে ভাসতে ভাসতে
হয়তো কখনো ঘুমিয়ে পড়ি।
তারপরও জানালাটা খুলে রাখি।

যদি কেউ
পথ চলতে চলতে
ক্লান্ত জীবনে নামে শূণ্যথা
নিশীথ রাত্রির মতো।
যদি পাশে দাঁড়ায় বন্ধু কেউ
মুছে যায় সব ব্যথা
শিশিরে গাঁ ধোয়ার মতো।
কল্পনার জগতে সব বন্ধুই
কাঁচের আয়না।
ঘেরা পৃথিবীর উদ্যানে
এই ছোট্ট জীবনে
যদি কারো সাথে জন্ম হয় অনন্ত রোমাঞ্চের।

স্বপ্ন দেখায়
কষ্টের দিনগুলোতে
আমার রঙিন কৈশোর স্ব্প্ন দেখায়
সুখ দেখায়
সুখ দেখায়
প্রেরণা দেয়
পদ্মা, মেঘনা, যমুনার উন্মত্ত তীরে, ঘর বাঁধার।

ষাট বছর পার হলেও
ষাট বছর পার হলেও
রক্তের উষ্ণতা এখনো থামেনি।
ষাট পার হলেও
দরাজ কন্ঠস্বর এখনো বন্ধ হয়নি।

ষাট পার হলেও
মেশিনগান এখনো শক্ত হাতে ধরতে পারি।
ষাট পার হলেও
চেতনা ক্যানভাস এখনো কালো হয়নি।

ষাট পার হলেও
সিডর, নার্গিস, আইলা, কালবৈশাখী ঝড়ের
আঘাতে মেরুদন্ড বাঁকা হয়নি।

শুধু ফিশান বিক্রিয়ার মতো স্বপ্নগুলো বাড়ছে
বাংলা তোমাকে নিয়ে।

ফিরে আসা
কেনো ফিরে আসি গ্রামে
প্রতি সপ্তাহে ক্লাশের ফাঁকে ফাঁকে।
ছোট খাল, মাছ ধরার ‘খরা’
সারি সারি গাছ, বাঁশের সাঁকো
ছোট নদী, মৃদু ঢেউ
দুপাশে সবুজ মাঠ
এসব কিছ আছে কি কোথাও গ্রাম ছাড়া।

দুরন্ত বৈশাখের বাতাস ক্ষেতে দোল দেয়
কৃষকের মুখে হাসি ফোটে
মৌমাছি ওড়ে সর্ষে ফুলে
পাখি গান গায়,কদম দোলে
হাস্নাহেনা কামিনী সুবাস ছড়ায়
বৈশাখী ঝড় ঘরবাড়ি কাঁপায়।

হারানো সুর
পথ চলা থেমে যেতে চায়
আঁখি দেখতে না চায়
বাংলার আলো।
বলি, দেখে নাও যতো পারো
এতো সব আলো, কোথা পাবে বলো
বাংলা ছাড়া।
বসন্তের ঝড়ো হাওয়া বিক্ষিপ্ত বালুকারাশি
মাঝে মাঝে জ্যোৎস্নার আলোয়
সাদা হয় কালোনিশি।
মেঘেল ছুটাছুটি আকাশ জুড়ে যেনো লুকোচুরি খেলা।
নাতুন ধানের চারার সাথে বাতাসের কথা,
ভালোলাগার কাঁপন
কখনো একটানা, কখনো থেমে থেমে।
সুখ আর দুঃখের সন্ধিতে পথচলা।
তারপরও কেনো থেমে যেতে চায়
জীবন প্রদীপ, জীবনের বাতিঘর ফিরে পেতে চাই হারানো সুর
যা নিয়ে যাবে জীবন লক্ষ্যের বহুদুর।

বৃষ্টি হয়ে
আকাশের মেঘ যদি হতাম
ভেসে বেড়াতাম সারা বাংলা
বৃষ্টি হয়ে পড়তাম
রুক্ষ মাটির বুকে
সাদা কাশফুলে
কদম ফলে কৃষকের মাথালে নৌকার পালে
মন ঘিরৈ বেড়ে ওটা শরীরে।

মায়ের ভালোবাসায়
পথের শেষে রাত্রি নামবে
নির্ঘুম রাত হবে।
দেখবো চাঁদের আলোয় সবুজ ঢাকা
ঘোমটা দিয়ে থাকা
আমার ভালোবাসার অরণ্য বাংলাদেশ।
হয়তো কারো অপেক্ষায় ঢেকে রাখে ষোল কোটি সন্তান
মায়ের ভালোবাসায়।



N.B. Spelling of the articles are not checked yet. So, there might be some wrong of spelleings. The misspelling will be rewritten in correct form within few days.

ডি৩০ ম্যাটেরিয়াল

বন্ধুরা তোমরা ভালো আছো আশা করছি। তোমরা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবে যে সম্প্রতি রংপুর বেতারে আঞ্চলিকভাবে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে আমরা ইটিই ডিপার্টমেন্ট থেকে কয়েকজন অংশ্গ্রহণ করেছিলাম। 'বিজ্ঞানের আসর' নামের ও অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই আহসান হাবীব স্যার। অনুষ্ঠানটিতে বুলেট প্রতিরোধী জেল সম্পর্কে বলা হয়েছিল। আজকে আমি সেই বুলেট্ প্রতিরোধী জেল সম্পর্কে দু'চারটি কথা বলব।

বুলেট প্রতিরোধী জেল আসলে একটি ডি৩০ ম্যাটেরিয়াল। এটিকে আবিষ্কার করে রিচার্ড পালমার নামে একজন বিজ্ঞানী। এই জেলটির অভ্যন্তরীন অণুগুলোর কিছু উল্লেখ্যযোগ্য বৈশিষ্ট্যের জন্য একে বুলেট প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবাহার করা যায়। এখন তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে একটি জেলের দ্বারা বুলেট প্রতিরোধ করা সম্ভব কিভাবে?

যখন জেলটির উপর হালকাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয় তখন এর অভ্যন্তরীন অণুগুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণ এড়িয়ে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে। কিন্তু যখন অতিদ্রুত এর উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় তখন ঘটনাটা ঘটে একটু অন্যরকম। অতিদ্রুত চাপ প্রয়োগ করার ফলে অণুগুলো খুব অল্পসময়ের মধ্যে খুব বেশি পরিমান শক্তির সম্মুখীন হয়। আর সেই শক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অণুগুলোর মধ্যে সঞ্চালিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের কম্পন বেড়ে যায়। এই সময় অণুগুলো কঠিন অবস্থাপ্রাপ্রাপ্ত হয়। আর যত বেশি পরিমান চাপ প্রয়োগ করা হয় জেলটি তত বেশি শক্তিশালী কঠিনে পরিণত হয়।

এবার আসা যাক বুলেট প্রতিরোধে। বুলেট প্রতিরোধে জেলটি একই ঘটনা ঘটায়। যখন বুলেট জেলের ভেতর দিয়ে যাবার চেষ্টা করে তখন প্রাথমিক অবস্থায় এর কিছু শক্তি জেল কর্তৃক শোষিত হয়। আর এই প্রাথমিক শক্তি জেলটিকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এরপর যখন বুলেটটি আরো বেশি ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করে জেলটি আরও বেশি শক্তিশালী কঠিনে পরিণত হয়। অর্থাৎ যত বেশি শক্তি আপতিত হবে জেলটি তত শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।

আরো বিস্তারিতভাবে জানার জন্য ঘুরে আসতে পার রিচার্ড পালমারের কোম্পানীর ওয়েবসাইট

Sunday, March 23, 2014

বন্ধুরা তোমাদের বলছি

প্রিূয় বন্ধুরা আশা করছি ভালো আছো। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের ডিপার্র্টমেন্টের জন্য নির্মিত এই ব্লগটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজেই এখন আমি তোমাদের সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করছি। তোমরা চাইলে তোমাদের বিভিন্ন পরামর্শ আমাকে দিতে পারে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব ব্লগটিকে তোমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ডিজাইন করতে।

আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করছি। আমাদের কি উচিৎ না যে সেই লেখাগুলো সবাই পড়ুক? অবশ্যই উচিৎ। কাজেই আমি চাচ্ছি তোমরা তোমাদের লেখা এখানে প্রকাশ কর। লেখাগুলো প্রকাশ করার জন্য আমাকে ইমেইল করতে পার কিংবা সরাসরি দিতে পার। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তোমরা কম্পিউটারে টাইপ করে দাও। কেননা সেক্ষেত্রে আমার পরিশ্রম কম হবে এবং যতদ্রুত সম্ভব লেখাগুলো প্রকাশিত হবে। এখন তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে , আসলে লেখাগুলো কি বিষয়ে হবে? উত্তরটা এরকম যেকোন বিষয়ে হতে পারে। ক্যাটেগরী অনুযায়ী সেগুলোকে প্রকাশ করা হবে।

আরেকটি কথা হচ্ছে এখানে তোমাদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরতে চাচ্ছি। যারা যারা আগ্রহী আছো তারা প্লীজ তোমাদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত আমাকে দাও। এই যেমন, নাম, মোবাইল নম্বর, আইডি নম্বর, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি ইত্যাদি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তোমাদের রক্তের গ্রুপ। রক্তের গ্রুপটা গুরুত্বপূর্ণ একারনে যাতে যেকোন সময় রক্তের প্রয়োজনে তোমাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়।