বন্ধুরা তোমরা ভালো আছো আশা করছি। তোমরা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবে যে সম্প্রতি রংপুর বেতারে আঞ্চলিকভাবে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে আমরা ইটিই ডিপার্টমেন্ট থেকে কয়েকজন অংশ্গ্রহণ করেছিলাম। 'বিজ্ঞানের আসর' নামের ও অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই আহসান হাবীব স্যার। অনুষ্ঠানটিতে বুলেট প্রতিরোধী জেল সম্পর্কে বলা হয়েছিল। আজকে আমি সেই বুলেট্ প্রতিরোধী জেল সম্পর্কে দু'চারটি কথা বলব।
বুলেট প্রতিরোধী জেল আসলে একটি ডি৩০ ম্যাটেরিয়াল। এটিকে আবিষ্কার করে রিচার্ড পালমার নামে একজন বিজ্ঞানী। এই জেলটির অভ্যন্তরীন অণুগুলোর কিছু উল্লেখ্যযোগ্য বৈশিষ্ট্যের জন্য একে বুলেট প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবাহার করা যায়।
এখন তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে একটি জেলের দ্বারা বুলেট প্রতিরোধ করা সম্ভব কিভাবে?
যখন জেলটির উপর হালকাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয় তখন এর অভ্যন্তরীন অণুগুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণ এড়িয়ে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে। কিন্তু যখন অতিদ্রুত এর উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় তখন ঘটনাটা ঘটে একটু অন্যরকম। অতিদ্রুত চাপ প্রয়োগ করার ফলে অণুগুলো খুব অল্পসময়ের মধ্যে খুব বেশি পরিমান শক্তির সম্মুখীন হয়। আর সেই শক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অণুগুলোর মধ্যে সঞ্চালিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের কম্পন বেড়ে যায়। এই সময় অণুগুলো কঠিন অবস্থাপ্রাপ্রাপ্ত হয়। আর যত বেশি পরিমান চাপ প্রয়োগ করা হয় জেলটি তত বেশি শক্তিশালী কঠিনে পরিণত হয়।
এবার আসা যাক বুলেট প্রতিরোধে। বুলেট প্রতিরোধে জেলটি একই ঘটনা ঘটায়। যখন বুলেট জেলের ভেতর দিয়ে যাবার চেষ্টা করে তখন প্রাথমিক অবস্থায় এর কিছু শক্তি জেল কর্তৃক শোষিত হয়। আর এই প্রাথমিক শক্তি জেলটিকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এরপর যখন বুলেটটি আরো বেশি ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করে জেলটি আরও বেশি শক্তিশালী কঠিনে পরিণত হয়। অর্থাৎ যত বেশি শক্তি আপতিত হবে জেলটি তত শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
আরো বিস্তারিতভাবে জানার জন্য ঘুরে আসতে পার রিচার্ড পালমারের কোম্পানীর
ওয়েবসাইট।